🦚 ॥ শ্রী প্রজ্ঞাবিবর্ধন স্তোত্র ॥ 🦚

 বিনিয়োগ— 

অস্য শ্রীপ্রজ্ঞাবিবর্ধন স্তোত্রমন্ত্রস্য সনৎকুমার ঋষিঃ । স্বামী কার্ত্তিকেয়ো দেবতা । অনুষ্টুপ ছন্দঃ । মম সকলবিদ্যা সিদ্ধার্থং জপে বিনিয়োগঃ।

শ্রীস্কন্দ উবাচ —

যোগীশ্বরো মহাসেন কার্ত্তিকেয়োগ্নিনন্দনঃ । স্কন্দঃ কুমার সেনানী স্বামী শংকর সম্ভবঃ ॥১॥

(শ্রী কার্ত্তিকেয়কে নমস্কার) — যিনি এক মহাযোগী, যাঁকে অগ্নিদেবের পুত্ররূপে উল্লেখ করলে “মহাসেন” নামে জানা যায়, যাঁকে ষড়কৃতিকাদের পুত্ররূপে উল্লেখ করলে “কার্ত্তিকেয়” নামে পরিচিত করা হয়; যাঁকে দেবী পার্বতীর পুত্ররূপে উল্লেখ করলে “স্কন্দ” নামে ডাকা হয়, যাঁকে দেবী গঙ্গার পুত্ররূপে উল্লেখ করলে “কুমার” নামে জানা যায়; যিনি দেবসেনাদের অধিপতি, আমাদের গুরু এবং যিনি ভগবান শংকর থেকে উৎপন্ন হয়েছেন।

গাঙ্গেয়স্তাম্রচূডশ্চ ব্রহ্মচারী শিখীধ্বজ । তারকারীরুমাপুত্র ক্রৌঞ্চারিশ্চ ষডাননঃ ॥২॥

(শ্রী কার্তিকেয়কে প্রণাম) যিনি মা গঙ্গা ও তাঁর অনুগামিনী তাম্রচূড়ার প্রিয়, যিনি ব্রহ্মচারী এবং যাঁর প্রতীক ময়ূর, যিনি তারকাসুর ও ক্রৌঞ্চাসুরের শত্রু, যিনি দেবী উমার পুত্র, তাঁর ছয়টি মুখ রয়েছে।

শব্দব্রহ্ম সমুদ্রশ্চ সিদ্ধ সারস্বতো গুহঃ । সনৎকুমারো ভগবান্ ভোগমোক্ষফলপ্রদঃ ॥৩॥

(শ্রী কার্ত্তিকেয়কে প্রণাম) যিনি শব্দব্রহ্মসাগরের জ্ঞানে নিপুণ, যিনি শব্দব্রহ্মের মহান আধ্যাত্মিক রহস্যসমূহ বর্ণনায় পারদর্শী এবং সেইজন্য যথাযথভাবে পরিচিত। যিনি শব্দব্রহ্মরূপী ভগবান শিবের পুত্ররূপে ‘গুহ’ নামে প্রসিদ্ধ। যিনি সনৎকুমারের ন্যায় সদা নবীন ও শুদ্ধ, যিনি দিভ্য এবং যিনি পার্থিব ভোগ (পুণ্যকর্মের ফলে) ও চরম মোক্ষ—উভয় ফলই প্রদান করেন।

শরজন্মা গণাধীশ পূর্বজো মুক্তীমার্গকৃত্। সর্বাগম প্রণেতা চ বান্ছিতার্থ প্রদর্শনঃ ॥৪॥

(শ্রী কার্তিকেয়কে আমার নমস্কার) – তিনি যিনি বাণুতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যিনি গণাধীশ, এবং যিনি মুক্তির পথ স্থাপন (অর্থাৎ প্রদর্শন) করেছেন।

তিনি সকল আগম শাস্ত্রের দ্বারা সম্মানিত এবং যিনি আধ্যাত্মিক জীবনের ইচ্ছিত লক্ষ্যের দিকে (যেমন শাস্ত্রে নির্দেশিত) পথ দেখান।

অষ্টাবিংশতি নামানি মদীয়ানীতি যঃ পাঠেত্। প্রত্যুষম্ শ্রদ্ধয়া যুক্তো মুকো বাক্স্পতীর্ভবেত্॥৫॥

আমার ভক্ত যারা আমার আটাশটি নাম জপ করেন এবং আমার আধ্যাত্মিক উপদেশসমূহের চিন্তন করেন... প্রতিদিন প্রাতঃকালে শ্রদ্ধা ও ভক্তিসহ প্রার্থনা করা ভক্ত বাক্‌শক্তিতে নিপুণ হয়ে উঠবেন, যদিও তারা (বুদ্ধির অভাবে) মূকই হোন না কেন।

মহামন্ত্রময় নীতি মমনামানু কীর্তনম্। মহাপ্রজ্ঞামওাপ্নোতি নাত্র কার্যাবিচারণা ॥৬॥

আমার আধ্যাত্মিক উপদেশ এবং আমার নামের ভক্তিপূর্ণ জপ একটি মহামন্ত্রের মতো কার্যকর হবে, পাশাপাশি যে ভক্ত আমার দিভ্য লীলার চিন্তন করবে, সে মহান জ্ঞান ও বুদ্ধি অর্জন করবে। এতে কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়।

॥ ফলশ্রুতিঃ ॥

ॐ অষ্টাবিংশতিনামানি ত্রিকালং তু হি যঃ পাঠেত । প্রাকর্ষশ্রদ্ধয়ায়ুক্তো মূকো বাক্স্পতির্ভবেত্ ॥

— যে ব্যক্তি ভক্তি ও শ্রদ্ধা সহ দিনে তিনবার (প্রভাত, মধ্যাহ্ন, সন্ধ্যা) এই ২৮টি (অষ্টাবিংশতি) নামের পাঠ করেন, সে যদি নিঃশব্দ (মূক)ও হন, তবুও তিনি বচস্পতি (বাকপটু, জ্ঞানী বক্তা) হয়ে যান।

মহামন্ত্রময়নাং চ মহানাম্নাং প্রকীর্ত্তনাত্। মহাপ্রজ্ঞামঅবাপ্নোতি নাত্র কার্য্য বিবেচনাঃ॥

— এই মহান মন্ত্রস্বরূপ নামের জপ বা স্তুতি করলে মানুষ মহান প্রজ্ঞা ও জ্ঞান লাভ করে, এতে একটুও সন্দেহ নেই।

পুষ্যনক্ষত্রারম্ভ্য দশবারং পাঠেন নরঃ। পুষ্যনক্ষত্রপর্যন্তাশ্বত্থমূলে দিনে দিনে॥

— মানুষের উচিত যে, পুষ্য নক্ষত্র থেকে শুরু করে পরবর্তী পুষ্য নক্ষত্র পর্যন্ত (এক মাসব্যাপী), প্রতিদিন অশ্বত্থ (পিপল) গাছের তলায় এই নামগুলি দশবার পাঠ করুক।

পুরশ্চরণমাত্রেণ সার্বপাপৈঃ প্রমুচ্যতে॥

— শুধুমাত্র এই পুরঃচরণ (নিয়মিত পদ্ধতিতে করা পাঠ) করাই মানুষকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করে।

🌿 || ইতি শ্রী রুদ্রযামলে প্রজ্ঞাবিবর্ধনাখ্যাম্ 

শ্রীমদ্ কার্তিকেয় স্তোত্রম্ সম্পূর্ণম্ ||🌿 

 ॐ শরবন ভবায় নমঃ।। 🦚

তথ্য সংগ্রহ ও লেখনীতে —

© শৌর্যনাথ শৈব। ISSGT 

👉 প্রচারে — International Shiva Shakti Gyan Tirtha. ISSGT